December 22, 2024, 3:24 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক, চুয়াডাঙ্গা/
মানিকগঞ্জে চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের দুর্ঘটনা ঘটানো সেই যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বাসচালক জামির হোসেন মারা গেছেন। শনিবার সকালে ঈদের দিন ঢাকার শহীদ সোহওয়ার্দী হৃদরোগ ইন্সিটিউটে মৃত্যুু হয় তার। তিনি হৃদ রোগে ভুগছিলেন।
তার মৃতদেহ চুয়াডাঙ্গায় আনা হয়েছে আজ (রবিবার)।
২০১১ সালের ১৩ আগস্ট ঢাকা-পাটুরিয়া সড়কের মানিকগঞ্জ ঘিওরে বেপরোয়া বাসের সাথে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে খ্যতিমান চিত্র পরিচালক তারেক মাসুদ ও মিশুক মনিরসহ মোট ৫ জন নিহত হন। ওই মাইক্রোবাসে মোট ১০ জন আরোহীর মধ্যে তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদসহ অন্য আরোহীরা বেঁচে যান।
নিহত অন্যরা হলেন মাইক্রোবাসচালক মোস্তাফিজুর রহমান, প্রোডাকশন সহকারী ওয়াসিম হোসেন ও জামাল হোসেন। আহতরা হলেন তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ, শিল্পী ঢালী আল মামুন ও তাঁর স্ত্রী দিলারা বেগম জলি।
হতাহতরা কাগজের ফুল ছবির শুটিং স্পট দেখে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শালজানা গ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন।
জামির ছিলেন ঐ বাসের চালক। তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।
এ ঘটনার কয়েকদিন পর মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার চৌগাছা থেকে গ্রেফতার করা হয় ড্রাইভার জামির হোসেনকে। নেয়া হয় ঢাকায়। পরে তাকে মানিকগঞ্জে দাওয়রকৃত মামলায় সোপর্দ করা হয়। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র পেশ করে পুলিশ। বিচারে চালক জামির হোসেনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডসহ পরিবহন সংস্থাকে মোটা অংকের অর্থ জরিমানা হয়।
জামির হোসেনের জামাতা ফরিদ উদ্দিন জানান জামির কাশিপুরে কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন শুক্রবার হৃদ্রোগে অসুস্থ হয়ে পড়েন। গুরুতর অবস্থায় ওই দিনই তাকে কারাগার থেকে ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঈদের দিন সকালে তিনি মারা যান।
ফরিদ জানান আইনগত প্রত্রিয়া শেষ লাশ নেয়া হচ্ছে চুয়াডাঙ্গায়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের দৌলাতদিয়াড় স্কুলপাড়ার মৃত আব্দুর রহিম ও মরহুমা সফুরা বেগমের ছেলে জামির হোসেন ছোটবেলা থেকেই পরিবহনের সাথে যুক্ত। তিনি দক্ষ চালক হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। দীর্ঘদিন চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের মেহেরপুর-ঢাকা কোচের চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
Leave a Reply